শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাঁদাবাজদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প-পুতিন গোমস্তাপুরে মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায়-২ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু  কুড়িগ্রামে অবসরপ্রাপ্ত সাবরেজিস্টারের মরদেহ উদ্ধার, সৎভাই গ্রেপ্তার হোমনায় ২০ পিছ ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার নারী নির্যাতনের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন: আইএসপিআর রাণীশংকৈলে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক জব্দ  লালমনিরহাটে তিনটি গ্রামকে মাদক মুক্ত এলাকা ঘোষণা করলো “শাহীন সচেতনতার প্লাটফর্ম” রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেদখল সরকারি খাল উদ্ধার চুনারুঘসটে ভাগিনার হাতে মামা খুন
গাজীপুরের সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি: মানববন্ধনে রায়েরবাগে সাংবাদিকবৃন্দ

গাজীপুরের সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি: মানববন্ধনে রায়েরবাগে সাংবাদিকবৃন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এই দেশে একমাত্র সাংবাদিককে হয়রানি মারধর এমনকি হত্যা করাই সহজ কাজ! কারণ কোন সাংবাদিক এই নির্মম পরিনতির শিকার হলে তার সহকর্মীরাই দৃঢ় প্রতিবাদ বা আন্দোলনে নামেন না। মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রকাশ করে না ঘটনার আদ্যপান্ত। পেশার জায়গায় দেশের সকল সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বারবার তাদের এই করুণ পরিনতি ভোগ করতে হত না”। কথাগুলো বলছিলেন আজগর আলী ইমন, বিশেষ প্রতিনিধি এটিএন বাংলা। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে শনিবার (৯ আগষ্ট) বেলা ১২টায় রাজধানীর রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের এক ঝাঁক প্রতিনিধিরা।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকণ্ঠ-এর সাংবাদিক সোলাইমানের সঞ্চালনায় সভার সভাপতিত্ব করেন দৈনিক নতুন সময়-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুমন চৌধুরী। মানববন্ধনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি আলী আসগর ইমন।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দদের প্রতিবাদের আলোচনায় উঠে আসে,সময়ের সাহসী কলম যোদ্ধার জীবনাবসান রক্তস্রোতে ভেসে আজ রাস্তায়। গত ৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় গাজীপুর চান্দিনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেট সামনে দৈনিক প্রতিদিন এর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন কে অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী খুনিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে রাস্তায় ফেলে রেখে বীরদর্পে শতশত মানুষের সামনে দিয়ে চলে যায়।

একই দিন গাজীপুর সদর থানার সামনে পুলিশ ও শতশত মানুষের সামনে আরেকজন সহকর্মী সাংবাদিক ভাই আনোয়ারকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা মেরে বুকের উপরে লাফিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম ও দুই পা ইট দিয়ে থেতলে মৃতপ্রায় অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।
কি নৃশংস হত্যাকাণ্ড! কত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে কলম যোদ্ধা সৈনিক কে! রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের দুইজন কলম যোদ্ধা সৈনিক কালো পিচের রাজপথে রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে। উপস্থিত সাংবাদিক সমাজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত না হয়, তবে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে পেশাদার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ আরো সংকটপূণ্য হয়ে উঠবে।

এছাড়াও রায়েরবাগ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আজকের টাইমস-এর নিউজরুম এডিটর রাকিব হোসেন মিলন, কালের কণ্ঠ-এর মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, এশিয়ান টিভি-র এম এইচ রনি, বিজনেস জার্নাল-এর সম্পাদক হাসান কবির জনি, সকালের সময়-এর মাহমুদুল হাসান, নিউজ টুয়েন্টি ফোর-এর জাহিদুল ইসলাম সুজন, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান-এর রনি মজুমদার, দৈনিক কালবেলা ত্বকী, স্বাধীন সংবাদ-এর সম্পাদক আনোয়ার আকাশ এবং জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকির মাঝি।প্রতিদিন খবরের- সম্পাদক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহকারী মহাসচিব সরকার জামাল।

এছাড়াও কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রেজেন্ট টাইমস-এর মোল্লা নাসিরউদ্দিন, স্বাধীন সংবাদ-এর বাবলু শেখ, আলোর জগত-এর অর্ণব, রুদ্রসহ আরও অনেকে উপস্থিত থেকে কর্মসূচিকে সফল করে তোলেন। এই মানববন্ধনে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।

ঢাকা ৪ ও ৫ আসনের সাংবাদিক বৃন্দ এবং কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাব ও কদমতলী থানা প্রেসক্লাব যৌথ বিবৃতিতে দুইটি নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ মানববন্ধনের মাধ্যমে জানানো হয়।

সেই সাথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ খুনিদের সহ এর পিছনে ইন্ধন দাতাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করা হয়। গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন, মো. স্বাধীন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান, মো. সুমন ও শহিদুল ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান। তিনি বলেন, রাতে পুলিশের যৌথ তিনটি ইউনিট পৃথক পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই আটজনকে গ্রেফতার করে। আসামিগণ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, আসামিদের অপরাধ তারা অপরাধী।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com